প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ ইস্যুতে তারা যেন বিবেক ও নৈতিক স্পষ্টতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার (৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করার আর সুযোগ নেই ভারতের”।
শফিকুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশ সরকার যে আইনগত অনুরোধ জানিয়ে আসছে, ভারত তা উপেক্ষা করে এসেছে। যা এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। “আঞ্চলিক বন্ধুত্ব কিংবা কৌশলগত সম্পর্ক কোনোভাবেই বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের অজুহাত হতে পারে না,”—বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বিবিসি ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ উঠে এসেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে পাওয়া অডিও রেকর্ডিং ও ভিডিও ফুটেজ ২০২৪ সালের ছাত্র বিক্ষোভ দমনে তার ভূমিকার "চূড়ান্ত সত্য" প্রকাশ করেছে বলেও উল্লেখ করেন শফিকুল।
প্রেস সচিব বলেন, “ফাঁস হওয়া অডিও প্রমাণ—যা বিশ্বমানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যাচাই করেছেন—প্রমাণ করে এটি তাৎক্ষণিক সহিংসতা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
শেষে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান, “আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান” দেখানোর।
"বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়বিচার দাবি করে, আর বিশ্বকে এখন প্রমাণ করতে হবে—কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়,"—বলে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।